লক্ষ্মীপুর থেকে অসীম রায়ের প্রতিবেদন ১৮ ই আগস্ট —- সমগ্র রাজ্যে বিদ্যালয় সংমিশ্রণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেই সুবাদে লক্ষ্মীপুর আর্ল হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলের সাথে লক্ষ্মীপুর এলাকার ঐতিহাসিক গার্ল হাইস্কুলের সংমিশ্রণ নিয়ে গতকাল ঐ গার্ল হাইস্কুলে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় পড়ুয়াদের অভিভাবক সহ স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য সদস্য এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা গন সহ স্থানীয় বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিভিন্ন বক্তা এই গার্ল হাইস্কুলের ইতিহাস তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন বৃহত্তর লক্ষ্মীপুর এলাকার মেয়েদের শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে বিগত ১৯৭০ ইংরেজীতে স্থানীয় রাকেশ চন্দ্র পালের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরবর্তীতে সরকার ও এই স্কুল কে অধিগ্রহণ করে। সম্প্রতি শিক্ষা বিভাগের তরফে বিদ্যালয় সংমিশ্রণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাই সরকার এই গার্ল হাইস্কুল কে লক্ষ্মীপুর আর্ল হাইয়ার সেকেন্ডারি তে সংযোজন করতে চাইছে।এই কথা চাউর হতেই স্থানীয় সুনাগরিক গন ও অভিভাবকরা সরকারের বেটি বাঁচাও,বেটি পড়াও স্লোগান কে কার্যত প্রহসনে পরিণত করে সংমিশ্রণ করা হচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
এদিকে এই সংমিশ্রণ নিয়ে রীতিমতো লক্ষ্মীপুর এলাকায় জোরদার সমালোচনা শুরু হয়েছে,জানা গেছে অন্য এক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এই গার্ল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কে পুলিশের ভয় দেখিয়ে এক রকম জোর করে ফরমেটে সহি করে দিতে চাপ সৃষ্টি করেন, আজকের এই সভায় এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। তাদের মতে সরকারের নিয়মে যদি এই স্কুল কে সংমিশ্রণ করা হয় তাতে কোনো আপত্তি নেই, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই চাপ কে অপমানের নামান্তর বলে মনে করেছেন তারা এই সভা থেকে মাননীয় বিধায়ক কৌশিক রাই মহাশয়ের মাধ্যমে মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয়ের কাছে এই সংমিশ্রণ প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ জানান।
গতকালের অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর পৌর সভার সভাপতি মৃণাল কান্তি দাস, কমিশনার যথাক্রমে গুঞ্জন কর, শম্পা দাস, অজন্তা দেব, কল্যাণী দেব ,অমিত দাস, জগবন্ধু দাস, প্রধান শিক্ষিকা গৌরী পাল,মতিন চৌধুরী,রূপম দেব প্রমূখ।সবাই এই সংমিশ্রণ নিয়ে সরব হন।