বিশেষ প্রতিবেদন ২ রা সেপ্টেম্বর শিলচর —- ভুলে ভরা ২০১১ ইং সালের আর্থ সামাজিক ও জাতিগত লোকগননা তালিকা কে সামনে রেখে বিশেষ করে বরাক উপত্যকার প্রতিটি উন্নয়ন খন্ড এলাকায় চলছে দেদার দূর্ণীতি।সেই যেদিন থেকে গৃহহীন মানুষের জন্য সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প চালু করেছিল তখন থেকেই গৃহ বণ্টনে অর্থের লেনদেন শুরু হয়েছিল আজও সেই ধারাবাহিকতায় চলছে দেদার দূর্ণীতি অভিযোগ বঞ্চিত মানুষের।
সরকার যে উদ্দেশ্যে সমগ্র ভারতে এই আর্থ সামাজিক ও জাতিগত লোকগননা করেছিল তাতে ব্যাপক অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার কোনো ধরনের সংশোধন করে নি ফলে দেখা গেছে সমগ্র দেশে আশি লক্ষ গরীব মানুষ আছে সেইমতো আজ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গরীব কল্যান যোজনার চাউল এই আশি লক্ষ মানুষের জন্য বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে কি আশি লক্ষ গরীব মানুষ ভারতে আছেন? তা নিয়ে রীতিমতো খেদ প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিক গন। তাদের মতে চল্লিশ লক্ষ হবে কি না সন্দেহ।
এদিকে ২০১৪ ইং থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহ নির্মাণের অর্থ বৃদ্ধি পায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংকল্প পাকা ঘর নির্মাণ করে এক অভি লেখ সৃষ্টি করবেন তাই শহর ও গ্রামীণ এলাকার জন্য গৃহহীন মানুষের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে ব্যাপক কার্যসুচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আমাদের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংকল্প কে সুষ্ঠ ভাবে বাস্তবায়ন করতে বারবার স্বচ্ছ হিতাধিকারি চয়নে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় ২০১১ ইং সালের আর্থ সামাজিক ও জাতিগত লোকগননা তালিকায় যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের কে ২০২২ ইং পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে বিতরণ করা হচ্ছে।ফলে প্রকৃত হিতাধিকারি দের হাতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা আজ ও পৌঁছেছে না।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রথম যার নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহ মঞ্জুর করা হয়েছিল শুধু মাত্র প্রতি বছর তার ই ছেলেমেয়েদের এমন কি নাতি নাতনী দের নামে গৃহ বিতরণ করা হচ্ছে কিন্তু প্রকৃত হিতাধিকারি দের হাতে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে চাননা পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা।যদি ও পেতে হয় তাহলে দিতে হয় চাহিদা মতো অর্থ,যারা অসমর্থ তাদের ভাগ্যে বিগত ১১বছর ধরে জোটছে না প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহ। এখানে উল্লেখ্য যে প্রতিবাদ করে কোনো লাভ হয়না , কতৃপক্ষের সাফ কথা সেই ২০১১ ইং সালের আর্থ সামাজিক ও জাতিগত লোকগননা তালিকার বাইরে আমাদের কিছু করার নেই।
গতকাল এই প্রতিবেদক দেখেছেন জনৈক দিন হাজিরা করা এক প্রতিবন্ধী পরিবারের সদস্যের নাম ২০১৯ ইং সালে হিতাধিকারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কিন্তু দুঃখের বিষয় এই দিন হাজিরা করা প্রতিবন্ধী পরিবারের সদস্য চাহিদা পূরণে অক্ষম বলে আজ ও কুঁড়েঘরে বাস করছেন। এব্যাপারে কালাইন উন্নয়ন খন্ড আধিকারিক কে অবগত করা হয়েছে। অন্যদিকে এনিয়ে কাছাড়ের জেলা শাসক সহ প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহ যোজনার অভিযোগ কেন্দ্রে জনৈক আইনজীবী কড়া নাড়বেন বলে জানা গেছে।