নিজস্ব সংবাদদাতা শিলচর ৮ ই সেপ্টেম্বর —- যেহেতু ভাষা সংশোধনী আইন ১৯৬১ এর ৫ ধারা মোতাবেক বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা বাংলা কে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন আবেদন পত্রে এবং বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় গুলিতে অসমীয়া ভাষা ব্যবহার করা হয়। প্রতিবাদ সাব্যস্ত হলে বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড ও অন্যান্য আবেদন পত্রে পরিবর্তন করা হয়,আর বলা হয় ভুলক্রমে এই সব হয়েছে।
সম্প্রতি শিলচরের ট্রাঙ্ক রোডে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলচরের সাংসদ ও বিধায়ক। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই কার্যালয়ের যে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে তাতে দেখা গেছে বাংলা ভাষা কে উপেক্ষা করে ইংরেজি, হিন্দি ও অসমীয়া ভাষায় সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। সচেতন নাগরিক গন মনে করছেন এটা ১৯৬১ ইংরেজীর ভাষা আইন কে লঙ্ঘন করা হয়েছে।এই সাইনবোর্ড বিতর্ক নিয়ে রীতিমতো খেদ প্রকাশ করেছেন বরাক উপত্যকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তাদের মতে ১৯৬১ ইংরেজীর ভাষা আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে বারবার অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
এখানে উল্লেখ্য যে কয়েক মাস পূর্বে এই সাইনবোর্ড নিয়ে তুলকালাম কান্ড হয়েছে শিলচর শহরে, পরিশেষে বিশিষ্ট আইনজীবী ও বি, ডি এফ প্রধান প্রদীপ দত্ত রায়কেও জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল। সেদিনের কথা বলতে শুনেছি আজ, তথাপি আজ ও আমরা বাঙালি দলের নেতা সাধন পুরকায়স্থ মহাশয়ের নেতৃত্বে শিলচর শহরের বিশিষ্ট জনেরা এই সাইনবোর্ডে বাংলা ভাষা সংযোগ করতে এই কার্যালয়ের প্রধান কে স্মারকলিপি প্রদান করে ১৯৬১ ইংরেজীর ভাষা সংশোধনী আইনের ৫ নং ধারা বজায় রেখে অসমীয়া ভাষা কে সরিয়ে বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড লাগাতে দাবি জানান।
এদিকে এই সাইনবোর্ড বিতর্ক নিয়ে রীতিমতো শিলচরের সাংসদ ও বিধায়ক কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের যেন এই সব নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন নাগরিক গন।