নিজস্ব সংবাদদাতা বড়খলা ১৮ ই সেপ্টেম্বর —- সমগ্র রাজ্যের সাথে বরাক উপত্যকার তিন জেলায় ও ছেলে ধরা গুজব ছয়লাপ হয়ে পড়েছে। মুঠোফোনের দৌলতে এই গুজব প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন সামাজিক মাধ্যমে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ছেলে ধরার উপস্থিতি নিয়ে খবর বের হচ্ছে,ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া দের নিয়ে রীতিমতো উৎকন্ঠিত অভিভাবকরা। অনেকেই কচিকাঁচা দের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
গতকাল বড়খলা থানার অন্তর্গত উজান গ্রাম এলাকায় রাত আনুমানিক সাড়ে নয় টা নাগাদ হঠাৎ করে শখানেক গ্রাম বাসি ছেলে ধরার খবর পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন কিন্তু ছেলে ধরার উপস্থিতি ঠাহর করতে পারেন নি অবশেষে সবাই নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসেন। সূত্র জানিয়েছে ঐ এলাকার নারাইন ছড়া এলাকায় নাকি ছেলে ধরার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে আর এই মূহূর্তে এই খবর মুঠোফোনে উজান নগর সহ বিস্তির্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
এখানে উল্লেখ্য যে এখন পর্যন্ত সত্যিই ছেলে ধরা নিয়ে কেহ সদুত্তর দিতে পারেননি, প্রশ্ন করলে উত্তর আসে আমি দেখিনি শুনেছি,যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে সেই জায়গার মানুষ ও বলেন শুনেছি কিন্তু দেখিনি, অর্থাৎ বাস্তবে এটা গুজব। কিন্তু এই গুজব যে গজবে পরিণত হয়ে গেছে তা নিয়ে কেউই ভাবছেন না।এই গুজবের ফলে ছোট ছোট ফেরিওয়ালা বেকায়দায় পড়ে গেছেন।পূজার মরশুমে এই সব ফেরিওয়ালা গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত আজ তাদের কে ও সন্দেহের আবর্তে রাখা হয়েছে।তাই কেউই দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। এদিকে এই গুজবের ফলে আক্রান্ত অপরিচিত সাধারণ মানুষ,এই গুজব এমনভাবে ছড়াচ্ছে যার ফলে অনেক মস্তিস্ক বিকৃত মানুষ ও মার খাচ্ছেন। এমনটাই ঘটেছে বদরপুর রেল জংশনে জানিয়েছেন জনৈক সমাজ সেবী।
যদিও এটা গুজব তথাপি এই গুজবের পিছনে রহস্য আছে বলে জানিয়েছেন একাংশ সচেতন নাগরিক মহল তাদের মতে এটা এক দুষ্ট চক্রের আবিস্কার। সাধারণ মানুষের মন এদিকে ঘুরিয়ে দিয়ে চৌর্যবৃত্তি সম্পন্ন করা, দূর্গা পূজার মরশুমে গ্রাম এলাকায় সুপারী চুরি শুরু হয় এটা ও একটা কারন হতে পারে। তাদের মতে বেশ কয়েক বছর আগে মানুষ খেকো বলে একটা গুজব ছড়িয়েছিল,তখন ভয়ঙ্কর এক পরিস্হিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই সবাই ঘরের দরজা বন্ধ করে দিতো এমনকি ঘরের ভেন্টিলেটরের মধ্যে ও টিন লাগানো হয়েছিল, অবশেষে পুলিশ প্রশাসন গুজব রটনা কারি দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলে ঘোষণা করতেই মানুষ খেকো গুজবের অবসান ঘটে। ঠিক এমনটাই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল।
অবিলম্বে এই গুজবের পিছনে কি রহস্য আছে তা উদঘাটন করা হোক না হলে আসন্ন দূর্গা পূজার আনন্দ মাটিতে মিশিয়ে যাবে সর্বোপরি কচিকাঁচা দের পড়াশুনা লাঠে উঠে যাবে এমনটাই দাবি করেছেন অভিভাবক গন। এব্যাপারে তিন জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।