বিহাড়া বাজার থেকে বিপ্লব কর চৌধুরীর প্রতিবেদন —– দীর্ঘদিন দিন পর কাঠিগড়া বিধানসভা এলাকার বিহাড়া বাজারে গতকাল অনুষ্ঠিত হলো বামপন্থী সংগঠন সিটুর অন্তর্ভুক্ত সারা আসাম অঙ্গন ওয়াড়ি কর্মী -সহায়িকা সংস্থার জেলা সম্মেলন।এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দুই জেলার ১৩০ জন প্রতিনিধি,তা ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দুশোর অধিক এই বামপন্থী সংগঠনের সদস্যরা।
সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধি ও সদস্য দের উপস্থিতিতে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন আসাম রাজ্য কমিটির সম্পাদিকা কমরেড ইন্দিরা নেওগ এবং সিটু র পতাকা উত্তোলন করেন কমরেড সুপ্রিয় ভট্টাচার্য।
জেলা সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কমরেড ইন্দিরা নেওগ। তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন বর্তমান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার শ্রম আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এদিকে সুসংহত শিশু উন্নয়ন বিভাগ কে ব্যক্তি গত ক্ষেত্রে হস্তান্তরের চেষ্টা চালাচ্ছে, সরকারের এই পদক্ষেপ কে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে বক্তব্য পেশ করেন তিনি ।কমরেড ইন্দিরা নেওগ উপস্থিত অঙ্গন ওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা দের সংঘবদ্ধ হয়ে গনতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
রাজ্য কমিটির আরেক নেত্রী রত্না শুর , সুপ্রিয় ভট্টাচার্য, অভিজিৎ গুপ্ত প্রমূখ ও তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে সরকারের শ্রমিক বিরোধী সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন, তাদের বক্তব্যে অঙ্গন ওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা দের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। অভ্যর্থনা সমিতির সভানেত্রী শিবানী দেব ও গনতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পরিশেষে ঝর্ণা দাস কে সভাপতি, দীপ্তি সিনহা কে সাধারণ সম্পাদিকা মনোনীত করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়।এই সম্মেলন থেকে রনগীয়া সম্মেলনে উপস্থিত থাকার প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। আজকের এই সম্মেলন জানান দিয়ে গেলো এখন ও বামপন্থী সংগঠন শ্রমিক দের স্বার্থ রক্ষা করতে পিছপা হয় না, দীর্ঘদিন পর বিহাড়া বাজার এলাকায় লাল পতাকার বাহার দেখে সচেতন মহলের দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে বলে এই প্রতিবেদক মনে করছেন।