বিশেষ প্রতিবেদন ২২ শে সেপ্টেম্বর শিলচর —- দক্ষিন আসামের বরাক উপত্যকার তিন জেলার কৃষি জীবি মানুষের আয়ের একমাত্র উৎস কৃষি জাত দ্রব্য বেচা কেনা।সেই সব কৃষি জাত দ্রব্য পরিকল্পনা মাফিক বাজার জাত করতে সরকার কৃষি মার্কেটিং বোর্ড গঠন করেছে, যথারীতি কৃষি জাত দ্রব্য বেচা কেনা সেই বোর্ডের নিয়মে চলে আসছে।এক জেলা থেকে অন্য জেলায় এবং অন্য রাজ্যে সরবরাহ করতে হলে বা অন্য জায়গা থেকে আমদানি করা হলে এই কৃষি মার্কেটিং বোর্ড কর আদায় করার বিধান রয়েছে।
এই মার্কেটিং বোর্ড বিভিন্ন কৃষি জাত দ্রব্য বেচা কেনা করতে লাইসেন্স ও প্রদান করে থাকে। পূর্বে অনেক ব্যবসায়ী এই বোর্ড থেকে লাইসেন্স নিয়েছেন এবং বিধি অনুযায়ী ব্যবসা করে আসছিলেন। বর্তমান সরকার অবৈধভাবে বার্মিজ সুপারীর ব্যবসার উপর লাগাম টানার পর বরাক উপত্যকার স্থানীয় সুপারী বিক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে যে বরাক উপত্যকায় প্রচুর পরিমাণে সুপারী ফলন হয় এই সুপারী পার্শ্ববর্তী মিজোরাম ও মেঘালয় রাজ্যে রপ্তানি করা হয়ে থাকে,ফলে বরাক উপত্যকার মানুষ তাদের বাড়ীর সুপারী সাপ্তাহিক বাজারে নিয়ে আসতেন। বিশেষ করে এই শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে গ্রামের মানুষ তাদের বাড়ীর সুপারী বিক্রি করে পূজার কেনাকাটা করে থাকেন।এবার ব্যতিক্রমী এক দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে সাপ্তাহিক বাজারে কাঁচা সুপারী কেউই কিনতেই চাইছেন না,কারন এই সব কাঁচা সুপারী রপ্তানি করা যাচ্ছে না।
এদিকে অবৈধ বার্মিজ সুপারীর উপর সরকারের বিধি নিষেধ কে স্থানীয় সুনাগরিক গন স্বাগত জানিয়েছেন, কিন্তু স্থানীয় সুপারী বেচা কেনা করতে বাধা কোথায় ? এমনতর অভিযোগ উত্থাপন করেন সচেতন নাগরিক গন। তাদের মতে সরকারের মার্কেটিং বোর্ডের ভূমিকা নিধিরাম সর্দারের মতো হয়ে গেছে কি? এদিকে স্থানীয় কৃষি জাত দ্রব্য বেচা কেনা করতে জনসাধারণের যে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন তা নিয়ে আমাদের জনপ্রতিনিধি দের নীরবতা কবে যে ভাঙবে তা নিয়ে রীতিমত সমালোচনা শুরু হয়েছে।
গতকাল অনেকেই বলেছেন সরকার এব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে এই পূজার মরশুমে গ্রাম এলাকায় পূজার আনন্দ মাটিতে মিশিয়ে যাবে, বিশেষ করে গরীব মেহনতি মানুষের কাছে এই সুপারী এই সময়ের জন্য কতটা কাজের তা একমাত্র তারাই জানেন। এব্যাপারে কাছাড়ের জেলা শাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।