বিশেষ রাজনৈতিক প্রতিবেদন ৪ ঠা নভেম্বর শিলচর —- বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল ২০১৯ নিয়ে যখন সমগ্র দেশের সাথে বিশেষ করে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলির মধ্যে আসাম যখন উত্তাল হয়ে ওঠে তখন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কৌশলগত কারণে তা বাস্তবায়ন করা থেকে সাময়িক ভাবে বিরত থাকার পর রাজ্যের বিভিন্ন দল সংগঠনের নেতারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। অবশেষে অসমীয়া জাতির দলিল বলে খ্যাত অসম চুক্তি কে কার্যত প্রত্যাখ্যান করে ভিত্তি বর্ষ ৫১ না ৭১ তা নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে যায়।এই মামলার শুনানি ও শুরু হয়ে গেছে। সম্মিলিত মহা সঙ্ঘ এই জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ও আগামী ১লা ডিসেম্বর ও ৫ ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বাজিমাৎ করতে এবং প্রকারান্তরে নাগরিকত্ব বিল কে আপাতত সরিয়ে রেখে ১৯৫৫ ইংরেজীর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ৫ ও ৬ নং ধারা বজায় রেখে গুজরাটের দুই জেলা আনন্দ ও মেহাসনা যেখানে পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে অসংখ্য মানুষ এসেছেন এবং যাদের নাগরিকত্ব নেই তাদের কে নাগরিকত্ব প্রদান করতে দু দিন পূর্বে এক নোটিফিকেশন প্রকাশ করে অনলাইনে আবেদনের কথা ঘোষণা করেছে।
এখানে উল্লেখ্য যে মোদী সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে ভারত কে হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে বদ্ধপরিকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যে চলছে তার আভাস পাওয়া গেছে আর সেটার এসিড টেস্ট গুজরাটের সমূদ্র উপকুল থেকে শুরু হলো বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর এই পদক্ষেপ যদি বাস্তবায়ন হয়ে যায় তাহলে সমগ্র দেশে নাগরিকত্ব প্রদান নিয়ে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।এক কথায় সাপ ও মরবে আর লাঠি ও ভাঙবে না এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ কে স্বাগত জানিয়েছেন উদ্বাস্তু হয়ে আসা ভূক্ত ভোগী মানুষ।