DIGITAL

September 13, 2023

APTCE 18538973148

দেশের ৯ টি রাজ্যের ৩১ টি জেলায় নাগরিকত্ব দিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল কেন্দ্র সরকার,ছাড় দেওয়া হলো আসাম ও পশ্চিম বঙ্গ

বিশেষ প্রতিবেদন ১১ ই নভেম্বর শিলচর —- কদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৫৫ ইংরেজীর নাগরিকত্ব আইনের ৫ ও ৬ধারা মতে গুজরাটের মেহসেনা ও আনন্দ জেলায় যে সকল মানুষ  বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদের কে নাগরিকত্ব প্রদান করতে সেই সব জেলার জেলা শাসক ও স্বরাষ্ট্র সচিব দের নির্দেশ প্রদান করেন।

এদিকে  খুব কম সময়ের ব্যবধানে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক এবার গুজরাট সহ মোট ৯ টি রাজ্যের ৩১ টি জেলায় ও নাগরিকত্ব প্রদান করতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে,সেই মতো ৯টি রাজ্যের ৩১জন জেলা শাসক ও স্বরাষ্ট্র সচিব দের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আপাতত বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা হিন্দু,শিখ, বৌদ্ধ,জৈন,পারসী, খৃষ্টান দের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।

এদিকে নাগরিকত্ব প্রদান করতে যে সব রাজ্য কে বেচে নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি ও মহারাষ্ট্র। কিন্তু আশ্চর্য জনক ভাবে আসাম ও পশ্চিম বঙ্গ কে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি, এখানে উল্লেখ্য যে বিশেষ করে আসামে উদ্বাস্তু হয়ে আসা হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ আজ ও নাগরিকত্ব পান নি, প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় তাদের কে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হয়, তাদের কে ডি ভোটার হিসেবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।২০১৪ ইংরেজীতে এই সব উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ ভেবেছিলেন যে এবার হয়তো বা একটা দফারফা হবে তাই উজার করে ভোট দিয়ে বিজেপি দলের সরকার গঠন করতে কার্পণ্য করেননি। কিন্তু রাহুর দশা আরও ঘাড়ে চেপে ধরে।

এখানে উল্লেখ্ করা আবশ্যক, সম্প্রতি যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব প্রদান করতে একক ভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো ঠিক আসামের উদ্বাস্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য যদি এভাবে  নাগরিকত্ব প্রদান করতে  সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতো তাহলে দীর্ঘদিনের এক অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতেন ঐ সব উদ্বাস্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। আজ অনেকেই বলেছেন উদ্বাস্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতি যদি এতই দরদ থাকতো তাহলে জেপিসি গঠন করে ঘুমিয়ে থাকা মানুষ দের কেনো জাগালো।আসলে উদ্বাস্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য বিজেপি দলের কোনো ধরনের দরদ নেই। শুধুমাত্র ভোট ব্যাংক হিসেবে তাদের কে ধর্মীয় সূড়সুড়ি  দিয়ে ভোট আদায় করা যে একমাত্র লক্ষ্য তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন অন্ধ ভক্ত গণ ।

এই প্রতিবেদক কে কাছে পেয়ে জনৈক সমাজ সেবি বললেন আজ যে সকল রাজ্যের উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষ দের  নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে সেখানে ১% হিন্দু  বাঙালি জাতির মানুষ আছেন বলে মনে হয় না। এদিকে পশ্চিম বঙ্গে ও উদ্বাস্তু হয়ে আসা  হিন্দু বাঙালি দের ও নাগরিকত্ব প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। তথাপি সেখানের নাগরিকত্ব সমস্যা ভিন্ন ধরনের আর আসামের নাগরিকত্ব সমস্যা রাজনৈতিক মোড়কে ঢাকা এবং অতি স্পর্শকাতর।

অবশেষে একটা কথাই বলতে শুনা গেছে আসামে বসবাস রত উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতি হিন্দুত্ববাদী বিজেপি দল যে আন্তরিক নয় তা জলের মতো স্বচ্ছ হয়ে গেছে।এখন তো জেপিসি গঠন না করেই নাগরিকত্ব প্রদান করতে একক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো কেন্দ্রীয় সরকার তাহলে আসামের জন্য কেনো জেপিসি গঠন করে নাগরিকত্ব সমস্যা আরো ও ২০ বছর ঝুলিয়ে রাখলো তা নিয়ে রীতিমতো খেদ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।এক কথায় উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি জাতির নাগরিকত্ব নিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ও হিন্দুত্ববাদী দল সংগঠনের নেতারা আবার ও পুরোনো কেসেট বাজাবেন তা নিশ্চিত।