বিশেষ প্রতিবেদন ২৭ শে নভেম্বর শিলচর —- স্বাধীনতার ৭০ বছর পর এবারই প্রথম বরাক উপত্যকার গ্রামীণ এলাকার মানুষ তাদের বাড়ীর সুপারী বিক্রি করতে পারছেন না এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের মতে সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত তাদের জীবিকা নির্বাহের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার বার্মিজ সুপারীর কালো বাজারি রুখতে গিয়ে স্থানীয় সুপারীর সাদা বাজারী বন্ধ করে দিয়েছে, যেখানে সব ধরনের সুপারী রপ্তানির ক্ষেত্রে বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেখানে স্থানীয় সুপারী ব্যবসায়ী গন স্থানীয় সুপারী কিনতে চাইছেন না।
এখানে প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে স্থানীয় সুপারী ও বার্মিজ সুপারীর পার্থক্য খুজে না পাওয়ায় সরকার সব ধরনের সুপারী রপ্তানির ক্ষেত্রে বাধা নিষেধ আরোপ করেছে।এখন স্বভাবতই প্রশ্ন উত্থাপন হবে কৃষি বিভাগের বিরুদ্ধে, জনৈক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বলেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা যদি কোনো সুপারী বার্মিজ আর কোন সুপারী স্থানীয় চিহ্নিত করতে না পারেন সেখানে কারা চিহ্নিত করবে বা সরকারের কোন বিভাগ তা চিহ্নিত করবে? এখানে উল্লেখ্য যে প্রতি বছর দূর্গা পূজার পূর্ব থেকে বরাক উপত্যকার গ্রাম এলাকার মানুষ তাদের বাড়ীর সুপারী বিক্রি করে পুজার কাপড় চোপড় কিনেন কিন্তু এবার সেই শতবর্ষ পুরোনো পরম্পরায় ভাটা পড়েছে। বারবার সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী গন কিন্তু এব্যাপারে কোন সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জন দরদী মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ও কোন লাভ হয়নি। স্থানীয় সুপারী বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এদিকে আসাম মেঘালয় সীমান্তে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বরাক উপত্যকার মানুষ সড়ক পথে গৌহাটি সহ অন্যান্য স্থানে যাতায়াত করতে পারছেন না ফলে এক অনিশ্চিত যাত্রার সম্মূখীন হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় বিকল্প সড়কের প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে প্রায় সময়ই সামান্য একটু কিছু হলেই একাংশ খাসি সংগঠনের সদস্যরা বরাক উপত্যকা থেকে আসামের রেজিস্ট্রেশন লেখা যানবাহন গুলির উপরে ভাঙচুর চালায় তার সঙ্গে যাত্রী দের ও হেনস্থা করে,এবার ও এমনটাই হচ্ছে তাই অবিলম্বে মহাসড়কের কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করতে বা নূতন করে বিকল্প পথ নির্মাণ করা আবশ্যক বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্ট জনেরা।তাই আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কেবিনেট বৈঠকে এই বিষয়ে জোরদার দাবি উত্থাপন করতে বরাক উপত্যকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা সহ বরাক উপত্যকার পনেরো জন বিধায়ক এবং দুই জন সাংসদের কি ভূমিকা প্রকাশ পায় তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বরাক উপত্যকার মানুষ।
এই প্রতিবেদক কে কাছে পেয়ে জনৈক সমাজ সেবী বলেছেন আমাদের পনেরো জন বিধায়ক ও দুই জন সাংসদের ভূমিকা যত টুকু হওয়ার কথা ততটুকু হচ্ছে না। এদিকে দুর্বল বিরোধী দলের ভূমিকা তলানীতে ঠেকেছে তাই স্বাধীনতার ৭০ বছর পর এভাবে স্থানীয় সুপারী নিয়ে সাধারণ মানুষ দের সাথে ছেলেখেলা করছে সরকার এমনটাই মন্তব্য করতে শুনা যাচ্ছে।তাই আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে সরকারের নূতন নিয়ম নির্দেশিকা ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এক বিশেষ সুত্রে জানা গেছে।