বিশেষ প্রতিবেদন ২৯ শে ডিসেম্বর শিলচর —– অবশেষে গত ২৭ শে ডিসেম্বর ভারতের নির্বাচন কমিশন সমষ্টি পুনঃ নির্ধারণের অধিসুচনা জারি করেছে।মোট ১২৬ টি বিধানসভা চক্র এবং ১৪টি লোকসভা চক্র বহাল রেখে বেশ কিছু নূতন সমষ্টি গঠন করতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী পয়লা জানুয়ারি থেকে এই আদেশ কার্যকর করা হবে।
সূত্র মতে জানা গেছে ভূমি পুত্র দের রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার স্বার্থে বেশ কিছু সমষ্টির হেরফের করা হবে। যার ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব বিধানসভায় হ্রাস পাবে।এই সমষ্টি পুনঃ নির্ধারণের খসড়া নিয়ে রীতিমতো খেদ প্রকাশ করেছেন সংখ্যালঘুদের বিশিষ্ট জনেরা। কিন্তু এসব ধোপে টেকেনি, অবশেষে ভারতের নির্বাচন কমিশন সমষ্টি পুনঃ নির্ধারণের অধিসুচনা জারি করে বিজেপি দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে চলেছে বলে বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা মত প্রকাশ করেছেন।
এদিকে বরাক উপত্যকার দুইটি লোকসভার মধ্যে করিমগঞ্জ লোকসভা আসন এতদিন অনুসূচিত জাতীর জন্য সংরক্ষিত ছিল কিন্তু এবার করিমগঞ্জ লোকসভা আসন এই গেরো থেকে বের হবে আর শিলচর লোকসভা আসন সেই গেরোতে আটকে যাবে। অর্থাৎ অনূসুচিত সংরক্ষিত হবে শিলচর আসন। এদিকে ধলাই বিধানসভা সাধারণ হয়ে যাবে আর কাঠিগড়া বিধানসভা আসন অনুসূচিত জাতির জন্য সংরক্ষিত হবে। অন্যদিকে আলগা পুর আসন বিলুপ্ত করে নূতন করে দূর্লভ ছড়া – লালা বিধানসভা চক্র হবে।এই সমষ্টি পুনঃ নির্ধারণের ফলে অনেক রথী মহারথীদের ভবিষ্যৎ প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।