DIGITAL

September 23, 2023

APTCE 18538973148

বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পলাতো আসামী জহির উদ্দিন আত্মঘাতী — উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি পরিবার বর্গের

বিহাড়া বাজার থেকে পিঙ্কু রায় হালদার ৬ ই ফেব্রুয়ারি — গত শুক্রবার সংঘটিত প্রাণঘাতী হামলার অভিযুক্ত বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত সেউতি ৩ য় খন্ড এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দিন পুলিশি হেফাজত থেকে পলায়ন করে এবং  একই পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার গড়া গ্রামের জলু মিয়াঁর বাড়ীর পাশে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আজ।

এখানে উল্লেখ্য যে গত শুক্রবার ৩ রা ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী জহির উদ্দিন তার স্ত্রী সুলতানা বেগম কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রাণঘাতী হামলা চালায়  এদিকে পরিবারের সদস্যরা ঘটনার ভয়ঙ্কর রূপ দেখে তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে জহির উদ্দিন কীটনাশক ওষুধ সেবন করে ফেলে, সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুবর্ণ দাস কে ফোন করে ঘটনার বিষয়ে অবগত করান। অবশেষে দূপুর ১২ টা নাগাদ ইনচার্জ সুবর্ণ দাস পুলিশ দল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে আহত সুলতানা বেগম কে এবং বিষ পান করা জহির উদ্দিন কে বিক্রম পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, অবস্থা বেগতিক দেখে উভয় কে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক গণ।

এদিকে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শনিবার বিহাড়া পুলিশ জহির উদ্দিনের স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে শিলচর মেডিকেল কলেজ থেকে তাকে বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে । পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে রাত ১০ টার সময় ফাঁড়ি থেকে তাদের কে মোবাইল ফোন যোগে জানানো হয় যে অভিযুক্ত জহির উদ্দিন কে বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হয়েছে এবং তাকে   চালান দেওয়া হবে। তড়িঘড়ি করে পরিবারের সদস্যরা রাত আনুমানিক সাড়ে দশটা নাগাদ ভাত তরকারি নিয়ে ফাঁড়িতে আসেন। ততক্ষণ পর্যন্ত সব ঠিক ঠাক ছিলো,পরের দিন ৫ ই ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টা নাগাদ ইনচার্জ সুবর্ণ দাস ফোন করে পরিবারের সদস্য দের জানান যে অভিযুক্ত জহির উদ্দিন পালিয়ে গেছে।

১২ ঘন্টা পার না হতেই আজ সকালে ঐ পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত গড়া গ্রামের জনৈক জলু মিয়াঁর বাড়ীর পাশে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এই এলাকার মানুষ হতভম্ব হয়ে পড়েন সঙ্গে সঙ্গে বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুবর্ণ দাস কে এই বিষয়ে অবগত করান স্থানীয় বিশিষ্ট জনেরা। এদিকে এ ঘটনার খবর জহির উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা ও জেনে যান তারা ও ধীরে ধীরে গড়া গ্রামের দিকে আসতে থাকেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুবর্ণ দাস তড়িঘড়ি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ পুলিশের হেফাজতে থাকা জহির উদ্দিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করার সময় তার হাতে হাতকড়া পরানো ছিলো কি? কাদের উপস্থিতিতেই বা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করছেন তারা। এদিকে আজ এই রহস্যময় ঘটনার পর কাঠিগড়া ও কালাইন পুলিশের বিশাল বাহিনী বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে মোতায়েন করা হয়েছে তার সাথে এই প্রতিবেদন লেখার সময় ও অসংখ্য মানুষ ভীড় করছেন বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত হলে এই তথাকথিত আত্ম হত্যার নেপথ্যে কি আছে তা উন্মোচন হবে বলে জানিয়েছেন একাংশ সচেতন নাগরিক গন।