বিশেষ প্রতিবেদন ৭ ই ফেব্রুয়ারি শিলচর —- আসামে বাল্য বিবাহের প্রবণতা যে বৃদ্ধি পেয়েছে তা অস্বীকার করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ২০২২ ইংরেজীর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সমগ্র রাজ্যের গর্ভবতী মহিলার সংখ্যা ছয় লাখের মতো তার মধ্যে ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৪ জন কিশোরী। স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বলা হয়েছে এই সংখ্যা দেখে মনে হচ্ছে সমগ্র রাজ্যে বাল্য বিবাহের প্রথা এখনও বহাল আছে,যা কিনা আইনের পরিপন্থী। রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কেশব মহন্ত বলেন সমীক্ষায় দেখা গেছে আসামের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বাল্য বিবাহের প্রবণতা এখনও বহাল আছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই উদ্বেগজনক হারে বাল্য বিবাহের প্রবণতা হ্রাস করতে তৎপর হন । কঠোর ব্যবস্থা হাতে নেওয়ার পর সমগ্র রাজ্যে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পক্ষে বিপক্ষে জোরদার আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে, বিভিন্ন দল সংগঠনের নেতারা ও প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কিন্তু মামার নির্দেশ বলে কথা পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে, জানা গেছে এই অভিযান আরও কিছু দিন চলবে,তার পর আইনী নোটিশ প্রেরণ করা হবে।
এমনিতেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি ক্ষেত্রে অভিলেখ সৃষ্টি করে আসামের রাজনীতির ইতিহাসে মাইল ফলক স্থাপন করে নিয়েছেন আর বর্তমানে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা আসামের রাজনীতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে মত প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিক গন।তাদের মতে এই বাল্য বিবাহ আইন যা কিনা POCSO আইন হিসেবে ভারতের সংবিধানে আছে তা যথাযথ ভাবে কার্যকর করা হলে প্রেম জনিত বিবাহের প্রবণতা হ্রাস যে পাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা,তাই কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী দের অভিভাবক গন মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয়ের এই সূদুর প্রসারী পরিকল্পনা যথার্থ বলে মনে করছেন । এক সমীক্ষায় দেখা গেছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক পড়ুয়াদের মধ্যে পালিয়ে বিয়ে করার প্রবণতা বিগত এক দশক ধরে মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাই এই আইন যথাযথ ভাবে কার্যকর করা হলে এই সকল ছাত্রছাত্রী এ পথে পা বাড়াবে না।তারা আরও বলেছেন ১৮ বছর বয়সী ছেলে মেয়ে দের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যদি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা হলে মামা বলে আখ্যায়িত মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরেক অভিলেখ সৃষ্টি করবেন। এভাবেই আজ এই প্রতিবেদক কে সচেতন ও সমাজের শুভ চিন্তক নাগরিক গন তাদের মনের কথা তুলে ধরেন।