বিশেষ প্রতিবেদন ১৩ ই মার্চ শিলচর — সর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে এমনটাই হয়, গতকাল মাধ্যমিক পরীক্ষার বিজ্ঞান বিষয়ক প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর সর্বত্র আলোচনা শুরু হয়েছে এই বলে যে সেবার ভিতর থেকে এই প্রশ্ন পত্র বের করে হাতে লিখে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নতুবা এমন হতো না। কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে থাকা প্রশ্ন পত্র কিভাবে ফাঁস হলো তা নিয়ে সেবার দায়িত্ববোধ নিয়ে রীতিমতো খেদ প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিক গন।
অবশ্য প্রশ্নপত্র ফাঁস কান্ড নূতন নয়, পূর্বে পরীক্ষা কেন্দ্র গুলো থেকে প্রশ্ন পত্র বের হয়ে পড়তো পরীক্ষা শুরু হতেই কিন্তু কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে থাকা প্রশ্ন পত্র কিভাবে ফাঁস হলো গতকাল তা নিয়ে শিক্ষা বিভাগ ও সেবা কোনমতেই দায়ভার এড়াতে পারে না। আসামের আরক্ষী সঞ্চালক প্রধান মাননীয় জি পি সিং এই প্রশ্ন পত্র ফাঁসের ঘটনায় কঠোর মনোভাব পোষণ করে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার সিআইডি তদন্তের কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন এই ধরনের কাজে যারা জড়িত হয়ে শিক্ষা বিভাগের বদনাম রটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে বর্তমান সরকারের হাম বড়াই ভাবের সমালোচনা শুরু হয়েছে। তাদের ভাষ্য মতে মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যত না দূর্ণীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন তত তাঁর প্রতিটি বিভাগের কর্মকর্তারা আজ এই মুহূর্তে ও দিব্যি দূর্ণীতি করে চলছেন। আজকের সেবার এই প্রশ্ন পত্র ফাঁসের ঘটনায় তা আবার প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাংশ সচেতন নাগরিক গন সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।