বিশেষ প্রতিবেদন ১৬ ই মার্চ শিলচর —- আসাম সরকার দূর্ণীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে ও বাস্তবে দূর্ণীতি নির্মূল হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। দীর্ঘদিনের সেই দেওয়া নেওয়ার অভ্যাস আজ ও অধিকাংশ রাজ্য সরকারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা গণ ছাড়তে রাজি নন। সরকার অনলাইন পদ্ধতিতে দূর্ণীতির রাশ টানতে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও কোনো লাভ হচ্ছে না।তার মূখ্য কারণ আবেদন পত্র তো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সুপারিশ তো করেন নির্দিষ্ট সেই কার্যালয়ের বাবুরা।ফলে দেবো না ও নেবো না সাইনবোর্ড কে সামনে রেখে সব কাজ হয় এমন অভিযোগ করেছেন সচেতন নাগরিক গন।
সূত্র মতে রাজ্য সরকারের পরিবহন বিভাগ,বন বিভাগ, রাজস্ব বিভাগ গুলিতে অনলাইন যোগে আবেদন করে কোনো লাভ হয় না এমনটাই অভিযোগ রয়েছে এই তিন কার্যালয়ে। এই তিন কার্যালয়ে সাধারণ মানুষের বেশি প্রয়োজন হয়। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই তিন কার্যালয়ে টাকা না দিলে কোনো কাজ হয়না। এমনিতেই আসাম সরকার কাছাড় জেলাকে ভূমি বিষয়ক সুবিধা নিতে অফলাইন করে রেখেছে ফলে প্রতিটি সার্কেল অফিসে পোয়াবারো চলছে। প্রতিদিন প্রচুর ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে এদিকে আসাম সরকার এই মার্চ মাসের মধ্যে ম্যাদি পাট্টার জন্য আবেদন করতে বলেছে। কিন্তু ৯৯% মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত যে হবেন নিশ্চিতভাবেই বলাবলি শুরু হয়েছে । সার্কেল অফিসে গেলে বলা হয় এধরনের কোনো নির্দেশ আসেনি, প্রতিটি সার্কেল অফিসের পাটোয়ারী কানুনগো বলেন আবেদন করুন, নির্দেশ পেলে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাধারণ মানুষ কে এভাবেই টুপি পরানো হচ্ছে।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে রাজ্যের অন্যান্য জেলায় খাস ও চিলিঙ জমির আবেদন অনলাইনে গ্রহণ করা হচ্ছে, কিন্তু কাছাড় জেলায় এই বিষয়ে কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।অন্য এক অসমর্থিত সূত্র মতে জানা গেছে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে এই খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার কাজ চলছে। এদিকে বন বিভাগ ও জেলা পরিবহন বিভাগ থেকে হেনস্তার সম্মূখীন হচ্ছেন অনেকেই, লাইসেন্স পেতে ও নবীকরণ করতে অর্থ দিতে হয় নাহলে কাগজ পড়ে থাকে মাসের পর মাস।বাধ্য হয়ে নিজের তাগিদেই সেই পথ ধরতে হয়।এই প্রতিবেদক কে সামনে পেয়ে ভূক্ত ভোগীরা বলেন এই দেবো না ও নেবো না সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখার মানে কি? এই সাইনবোর্ড লাগিয়ে আরও বারোটা বেজে গেছে,ঐ সাইনবোর্ড টির দোহাই দিয়ে এক টাকার জায়গায় দশ টাকা গুনতে হচ্ছে।
এখানে উল্লেখ্য যে প্রথম দিকে রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা প্রতিটি কার্যালয়ে এই সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল,মাস খানেক একটু স্বচ্ছ প্রশাসনিক কাজ কর্ম চোখে পড়ে কিন্তু এর পর যতো ধূলো পড়ছে তত সেই দেবো না ও নেবো না সাইনবোর্ড ও তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে।এখন অনেক কার্যালয়ে এই সাইনবোর্ড কোথায় যে গিয়ে ঠাঁই পেয়েছে তা কেউ বলতে পারেন না।
এব্যাপারে এই তিন কার্যালয়ের পরিকাঠামোর পরিবর্তন করতে কাছাড় জেলার জেলা শাসক রোহন কুমার ঝা মহাশয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভূক্ত ভোগীরা। এখানে উল্লেখ্য যে রাজ্য সরকার থেকে বারবার বলা হচ্ছে মূখ্য মন্ত্রীর ভিজিলেন্স সেলে অভিযোগ করতে কিন্তু এই সব ভূক্ত ভোগীরা সবাই সাধারণ মানুষ ।আর অভিযোগ করে বিশেষ কোনো সুরাহা হয় না।