বিশেষ প্রতিবেদন ২৯শে মার্চ শিলচর —- অসমীয়া গামোছা, অসমীয়া সংস্কৃতির সঙ্গে বিজড়িত হয়ে এই গামছা অসমীয়া জাতির স্বাভিমান হিসেবে অসম তথা বিদেশে ও পরিচিতি লাভ করেছে। অসমীয়া তাঁতী সমাজের বিশেষ এক নক্সায় তৈরি গামছা তাঁদের প্রতিটি ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কার্য্যসুচীতে বহুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে বংশ পরম্পরায়।
এই বিশেষ গামছা শুধু আসামের,আসাম সরকার এই গামছা কে GITag স্বীকৃতি দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করলে কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকৃতি প্রদান করে আসামের তাঁতী সমাজকে উৎসাহিত করেন।যার ফলে আমদানি কৃত গামছা বিক্রয়ের উপর খাঁড়া নেমে আসে।
এদিকে সম্প্রতি বাংলা সাহিত্য সভার অনুষ্ঠিত সভায় অসমীয়া ভাষী ও বাংলা ভাষী দের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন দেখাতে গিয়ে যে ভাবে অসমীয়া জাতির স্বাভিমান স্বরূপ গামছার সাথে লাল রঙের গামছা জোড়া দিয়ে সভায় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তা নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবী গন বলছেন এই জোড়া তালির গামছা দিয়ে আয়োজক কমিটি কি বোঝাতে চাইলেন তা স্পষ্ট নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন অসমীয়া ভাষী ও বাংলা ভাষী দের মধ্যে ঐক্যতার অভাব পূরণ করতে কি এই জোড়াতালি নাটক করেছেন না অসমীয়া গামছা আর বাঙ্গালীর গামছা যে পৃথক তা বুঝাতে চেয়েছেন ?
আখেরে এই জোড়া তালির গামছা সামাজিক মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করে গামছা বিতর্কের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অনেক সংগঠন এই জোড়াতালি তত্ত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আয়োজক কমিটির দায়িত্ব বোধ নিয়ে রীতিমতো খেদ প্রকাশ করেছে ।অনেক কে দেখা গেছে আইনের দরজায় টোকা মারতে চলেছেন।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে বিভিন্ন জন তাদের মতামত দিচ্ছেন,কেউ বলছেন গামছা বাঙালির কাছে তাদের স্বাভিমান, অন্যদিকে মুসলমান বাঙালি গন বলছেন গামছা কোনো বাঙালির কাছে স্বাভিমান স্বরূপ নয়। এদিকে সচেতন মহলের মতে ধূতি কে হিন্দু বাঙালির স্বাভিমান স্বরূপ ভাবা যেতে পারে ঠিক তেমনি মুসলমান বাঙালির লুঙ্গি কে তাদের স্বাভিমান বললে অত্যুক্তি হবে না।অযথা কোথা থেকে এই জোড়া তালির গামছা দেখিয়ে আয়োজক কমিটি নাম কুড়াতে গিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে । শেষমেশ অবস্থা বেগতিক দেখে আয়োজক কমিটির সভাপতি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে ও এখনও জোরদার আলোচনা সমালোচনা চলছে বলে জানা গেছে।