বিশেষ প্রতিবেদন ৫ ই এপ্রিল শিলচর — ভাবা গেছিলো ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে শিলচর আসন বিজেপি দলের হাতছাড়া হতে পারে। সামাজিক মাধ্যমে ও বর্তমান শিলচরের সাংসদের কাজকর্ম নিয়ে প্রতিদিন আলোচনা চোখে পড়ছে কিন্তু তার মধ্যে শিলচর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি বদল নিয়ে দলের অভ্যন্তরে চাপা কোন্দল সেই ধারনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এমনিতেই সারা রাজ্যে কংগ্রেস দলের অবস্থান মজবুত নেই বললেই চলে সেই সময় বরাক উপত্যকার তিন জেলার কংগ্রেস দলের ও মিটমিটে অবস্থা,সত্যি বলতে কি বর্তমান কংগ্রেস দল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে ভর করে নিজের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে।ভাষিক সংখ্যালঘুদের ২০% সমর্থন নেই বললেই চলে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বাঙালি হিন্দু দের কে নিত্য নুতন ললিলপের কথা বলে একপেশে করে দিতে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।ফলে বাঙালি হিন্দু দের অধিকাংশ কংগ্রেসের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
অন্যদিকে এ আই ইউ ডি এফ দলের ভিত এখনো সেই আগের মতই আছে বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে এমতাবস্থায় যে দলের শ্যেন দৃষ্টি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর তারা নির্বাচনের সময় কতটুকু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে সেটা নিয়ে ও ভাবতে হবে বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে যখন কাছাড় কংগ্রেসের অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে চলেছিল ঠিক সেই সময় তমাল কান্তি বণিক কে অস্থায়ী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে দলকে সাময়িক ভাবে খাঁড়া করতে প্রদেশ কংগ্রেস সক্ষম হতে না হতেই নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সুপারিশ মতে অভিজিৎ পাল কে শিলচর জেলা কংগ্রেসের নূতন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করার সিদ্ধান্ত কে কাছাড় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
অন্য এক বিশেষ অসমর্থিত সূত্রের খবরে জানা গেছে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে কাছাড় কংগ্রেসের সভাপতি বদলের নেপথ্যে রয়েছে শক্তিশালী রাজনৈতিক লবি।যেমনটা জানা গেছে তমাল কান্তি বণিক উঃ করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের ঘনিষ্ঠ ঠিক তেমনি অভিজিৎ পাল ও সুস্মিতা দেব ঘনিষ্ঠ, তাই এই ঘনিষ্ঠতার সুযোগ কে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে বিজেপি দল পুনরায় মর্যাদাপূর্ণ শিলচর লোকসভা আসন নিজের দখলে ধরে রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন একাংশ সচেতন নাগরিক গন।