বিহাড়া বাজার থেকে বিপ্লব কর চৌধুরীর প্রতিবেদন,৭ই এপ্রিল —- বরাক উপত্যকার প্রায় অধিকাংশ জলসররাহ প্রকল্প জল জীবন মিশনের অধীনে এনে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে যখন চোখে পড়ে ঠিক সেই সময়ে বিহাড়া বাজার এলাকায় কেনো বিশুদ্ধ পানীয় জলের হাহাকার দেখা যায়? তা ও আবার গড়ের ভিতর পঞ্চায়েত এলাকায় । এভাবে আজ এই এলাকার মানুষ প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
সূত্র মতে জানা গেছে গড়ের ভিতর পঞ্চায়েত এলাকায় মোট তিনটি জলসররাহ প্রকল্প যথাক্রমে শিব টিলা,গড়ের ভিতর এবং বিহাড়া ১ ম খন্ড ও দ্বিতীয় খণ্ড এলাকায় অবস্থিত।এই তিনটির মধ্যে দুটি কে জল জীবন মিশনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত এনে কাজ সম্পন্ন করে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা হলে বিহাড়া বাজার এলাকার প্রকল্প কে ভূতুরে প্রকল্প হিসেবে কেনো রাখা হয়েছে তার সদুত্তর মেলেনি আজও।বিগত মাস দশেক পূর্বে এই প্রকল্পের ডিজেল চালিত পাম্প অচল হয়ে পড়ায় বিভাগীয় কর্মীরা সেটা কে সরিয়ে নিয়ে যান,তখন স্থানীয় বাসিন্দারা সরিয়ে নেওয়ার কারন জানতে চাইলে বিভাগীয় কর্মীরা বলেন যে এই ডিজেল চালিত পাম্পের পরিবর্তে বৈদ্যুতিক পাম্প বসানো হবে।সেই যে নেওয়া হয়েছে সেটাই বোধহয় শেষ নেওয়া হয়েছে ,না হলে আজ পর্যন্ত কেনো বৈদ্যূতিক পাম্প বসানো হলো না? এভাবে আজ এই প্রতিবেদক কে কাছে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের খেদ প্রকাশ করেছেন।
এখানে উল্লেখ্য যে এই প্রকল্প বৃহত্তর বিহাড়া বাজার এলাকা সহ ভিতর ছোয়া অলি গলির মানুষের পানীয় জলের একমাত্র ভরসা । কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় বার বার বিভাগীয় কর্মকর্তা দের নজরে নেওয়ার পর ও কোনো ধরনের তৎপরতা শুরু হয়নি।এই প্রকল্পের কোনো ধরনের সংস্কার না করায় বর্তমানে যে পর্যায়ে পরিণত হয়েছে তা দেখলে মনে হবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ বোধহয় এই প্রকল্প কে হিম ঘরে ঠেলে দিয়েছে।
বিগত খরা মরশুমে এই বৃহত্তর এলাকার মানুষ কে বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য হাহাকার করতে দেখা গেছে অবশ্য এই কদিনের বৃষ্টিতে তাদের স্বস্তি ফিরে এলে ও তা সাময়িক তাই এই এলাকার মানুষ দুদিন আগে কাছাড় জেলার জেলা শাসক শ্রী রোহন কুমার ঝা মহাশয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিহাড়া দেশবন্ধু ক্লাবে তাঁর হাতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে তাদের বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানান। এব্যাপারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ১ নং ডিভিশনের কর্মকর্তারা কি বলেন তা লক্ষণীয় বিষয় বলে জানিয়েছেন একাংশ সচেতন নাগরিক।