DIGITAL

December 4, 2023

APTCE 18538973148

মিশন বসুন্ধরা ২.০ – অঘোষিত ১৯৫১ এঁটে দেওয়া হয়েছে – বঞ্চিত হবেন বাঙালি জনগোষ্ঠীর মানুষ

বিশেষ প্রতিবেদন ১৬ ই এপ্রিল শিলচর — আমার মাটি,আমার অধিকার – সরকারের এই ঢাক ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা বসুন্ধরা ২.০ এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন নিশ্চিতভাবেই অধিকাংশ মানুষই। সূত্র মতে জানা গেছে আসলে ভূমির অধিকার সম্পর্কীয় এই প্রকল্প শুধু মাত্র আসামের তথাকথিত ভূমি হীন ভূমি পুত্র দের জন্য যাদের পূর্ব পুরুষ ১৯৫১ ইং বা তার অব্যবহিত পরে আসামে এসে বসবাস করছেন তাদের কে ভূমি পাট্টা প্রদান করতে সরকারের এই উদ্যোগ।

যদিও সমগ্র রাজ্যে অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদন করেছেন লাখ লাখ মানুষ এখন ধীরে ধীরে উপলব্ধি করতে পারছেন বিশেষ করে বাংলা ভাষী মানুষ যে তারা বঞ্চিত হতে চলেছেন। সূত্র মতে জানা গেছে আবেদন পত্রের সাথে এটে দেওয়া তথ্যমতে যদি ১৯৫১  ইং বা তার অব্যবহিত পরের ১৯৬৫ ইং সালের ভোটার তালিকা কে মাপকাঠিতে অন্তর্ভুক্ত করে  যাচাই বাছাই করে পাট্টা প্রদান করতে কাজ শুরু হয়েছে। এভাবে যদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে বরাক ব্রহ্ম পুত্রের বাংলা ভাষী জনসাধারণ বঞ্চিত যে হবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে বরাক উপত্যকায় ও অফলাইন পদ্ধতিতে আবেদনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমে রায়তী খতিয়ান গুলো কে ম্যাদি পাট্টা করতে প্রতিটি রাজস্ব চক্রে কাজ শুরু করার খবর পাওয়া গেছে। এখানে উল্লেখ্য যে ১৯৭১ ই থেকে ১৯৯২ ইং পর্যন্ত যেসব মানুষ কে প্রজা স্বত্ব খতিয়ান প্রদান করা হয়েছে শুধুমাত্র তাদের কে ম্যাদি পাট্টা প্রদান করা হবে। এখানে ও ঘুরিয়ে পেচিয়ে ১৯৫১ কে এঁটে দেওয়া হয়েছে। যদি এভাবে বসুন্ধরা ২.০ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় তাহলে কাছাড় জেলার মধ্যে বিশেষ করে  শিলচর ও কাঠিগড়া বিধানসভা চক্রের ৮০% হিন্দু বাঙালির কাছে এই বহু আকাঙ্খিত বসুন্ধরা ২.০ অধরাই থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ভূমি হীন মানুষ যারা হাওর অঞ্চলের মানুষ এবং সিলিং উদ্বৃত্ত জমিতে বসবাসরত মানুষ। যত সময় গড়াচ্ছে ততই সেই ৬ নং গেরোতে ফেসে যাওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে আমাদের জনপ্রতিনিধি, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজ এই বিষয়ে জানার কোনো চেষ্টাই করছেন না । এদিকে সাধারণ মানুষ বুকভরা আশা পূরণ করতে ভূমি ও রাজস্ব চক্র কার্যালয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন, কিন্তু কতটুকু আমার মাটি আমার অধিকার সুনিশ্চিত করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিক গন।