গৌহাটি থেকে বিকাশ দাসের প্রতিবেদন ৭ ই জুলাই — হিমন্ত যা বলেন তা করেন , যেমনটা পূর্বে ও দেখা গেছে। অবশ্য সাময়িক প্রতিবাদ ধর্ণা প্রদর্শন আগে ও দেখা গেছে। পরমুহুর্তেই সব যেন ঠিকঠাক হয়ে যায়।এবার ও সমষ্টি পুনঃ নির্ধারণের বিরুদ্ধে সর্বত্র প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। বিচক্ষণ হিমন্ত শুধু মাত্র একটা কথা বলেই প্রতিবাদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়।
তিনি প্রকাশ্যে অসমীয়া জাতির আবেগের কথা মাথায় রেখে বলেন আমারা ভূমি পুত্র নির্ধারণ করতে পারিনি,এন আর সি তে বিফল হয়েছি এবার যদি সমষ্টি পুনঃ নির্ধারণ না করতে পারি তাহলে রাজ্যের ১০২ টি বিধানসভা আসন আমাদের হাত থেকে চলে যাবে।তাই খিলঞ্জিয়া দের জন্য এই ১০২ টি বিধানসভা আসন আগামী ৫০ বছরের জন্য সুরক্ষিত করে তুলতে আমার সরকারের এই প্রয়াস। ব্যস সব প্রতিবাদ মূহুর্তে বিলীন হয়ে গেছে ব্রহ্ম পুত্র নদের জলে।
এদিকে বরাক উপত্যকায় ও প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, বন্ধ ও পালিত হলো, গতকাল শিলচর শহরে বিশাল প্রতিবাদী মিছিল বের হয়েছে। জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ চোখে পড়লে ও বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার মোট ৭ জন বিধায়কের মধ্যে ৫ জন বিধায়ক এই সমষ্টি পুনঃ নির্ধারণের প্রস্তাবের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।ব্যতি ক্রম সোনাই ও বড়খলা বিধানসভা চক্রের দুই বিধায়ক যথাক্রমে মিসবাহূল ও সাজু, উনারা জেলা শাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমষ্টি পুনঃ নির্ধারণ বিষয়ক সভায় উপস্থিত হননি। যেখানে আইন সভার সদস্য গণ স্বপক্ষে অবস্থান করছেন সেখানে আন্দোলন করে কতটা সফল হওয়া যাবে তা বলা মুশকিল এই সরকারের আমলে, এমনটাই বলতে শুনা গেছে গতকাল।
এদিকে বিচক্ষণ হিমন্ত বরাক উপত্যকার সেদিনের বন্ধ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন ডিলিমিটেশন নিয়ে বরাক উপত্যকার ভারতীয়রা বেজায় খুশি, এখানে উল্লেখ্য যে এই মন্তব্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, এই মুহুর্তে ভারতীয় কারা তা কিন্তু স্পস্ট নয় তথাপি একাংশ জনসাধারণ নৃত্যের তালে তালে পা মেলাতে দেখা গেছে। সূত্রে জানা গেছে গতকাল ও তথাকথিত ভারতীয়রা মিছিলে পা মেলান নি।
এক বিশেষ সূত্র জানায় বরাক উপত্যকার ২ টি আসন বাদ পড়েছে আর এটাই চূড়ান্ত তালিকা তে স্থান পেয়েছে।