বিশেষ প্রতিবেদন ১৩ ই সেপ্টেম্বর শিলচর —– বড়খলা উন্নয়ন খন্ডের অধীন সোনাপুর ১ ম খন্ডের দিন মজুর আজিম উদ্দিন লস্কর পিতা মৃত আব্দুল খালিক বিগত ২০২০ ইংরেজী তে একটি প্রধান মন্ত্রী আবাস গৃহ নির্মাণের জন্য মনোনীত হন। সেই অনুযায়ী সরকারের গাইড লাইন মত জি আর এস তার বাড়িতে এসে ফটো মেরে অন্যান্য নথি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা দের কাছে প্রেরণ করেন।
উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ তার এসবিআই একাউন্টে ২০২০ ইংরেজীর ২৭ শে নভেম্বর প্রথম কিস্তির টাকা মোট ৩২.৫০০ টাকা জমা দেন,নিয়ম মেনে প্রথম কিস্তির টাকা ব্যয় করে জি আর এস কে অবগত করার পর ও জি আর এস আসেননি ,এক বছর পর অর্থাৎ ১৩-১২-২০২১ ইং আজিম উদ্দিন লস্করের মোবাইল এ ম্যাসেজ আসে যে তার একাউন্টে জব কার্ডের ৩৩৫০ টাকা জমা হয়েছে। এদিকে দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর ও তার নামের বরাদ্দকৃত ২ য় কিস্তির টাকা না আসায় তিনি পঞ্চায়েত সচিবের সঙ্গে কথা বলেন অবশেষে ৩-৩-২০২২ ইং তারিখে ২ য় কিস্তির টাকা মোট ৪৮,৭৫০ টাকা একাউন্টে জমা হয়। এবার ও তিনি গাইড লাইন অনুযায়ী ২ য় কিস্তির টাকা ব্যয় করে জি আর এস কে অবগত করেন , আর এটাই ছিল আজিম উদ্দিন লস্করের শেষ অবগত করা , এদিকে অসম্পূর্ণ ঘর নিয়ে বিপাকে পড়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার নিয়ে ঘরের কাজ সম্পূর্ণ করেন।
এদিকে ২০২০ এর মঞ্জুরীকৃত প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহের তৃতীয় কিস্তির অর্থ এবং জব কার্ডের অবশিষ্ট অর্থ আজ ২০২৩ ইংরেজি শেষ হতে চলেছে কিন্তু তার ভাগ্যে জোটে নি। অনেক আবেদন নিবেদন করে ও কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি বড়খলা উন্নয়ন খন্ডের বাবুরা। নিরুপায় হয়ে আজ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তার এসবিআই একাউন্ট বুক দেখিয়ে বলেন ২০২০ থেকে আমার একাউন্টে মোট দুটি কিস্তি একটি ২০২০ আরেকটি ২০২২ এ জমা হয়েছে আর জব কার্ডের টাকা মোট ৩৩৫০ টাকা ২০২১ ইংরেজীতে জমা হয়েছে। আর কোনো টাকা এই খাতে জমা হয় নি।
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহের গাইড লাইন অনুযায়ী কতদিনের মধ্যে একটি ঘরের এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা আর জব কার্ডের প্রায় ২০ হাজার টাকা হিতাধিকারী দের একাউন্টে জমা হতে হবে? এব্যাপরে সরকারের স্পষ্টীকরন একান্ত আবশ্যক বলে জানিয়েছেন একাংশ সচেতন নাগরিক। এভাবেই চলছে বড়খলা উন্নয়ন খন্ডের প্রধানমন্ত্রী আবাস গৃহ নির্মাণে হাই টেক কেলেঙ্কারি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজিম উদ্দিন লস্কর আরও বলেন যে জেলা শাসক যদি সুবিচার না করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী, মূখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ প্রেরন করবেন। অবিলম্বে এই ভয়ঙ্কর কেলেঙ্কারি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক গন।